আবারও বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম

25 May 2021, 9:43:02

দেশীয় বাজারে ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে অনেক কম দাবি করে আবারও ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য তাদের। এর আগে চলতি মাসের শুরুতেই রোজার মধ্যে একদফা দাম বাড়িয়ে প্রতি লিটার ১৪১ টাকা করে মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এর মাঝেই নতুন করে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন তারা, যা চলতি সপ্তাহেই কার্যকর হতে পারে।

দাম বাড়ানোর প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান। তিনি জানান শিগগিরই এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।

সচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম অনেক বাড়তি। ওরা (আমদানিকারক) রমজানেই লিটার প্রতি ৫ টাকা দাম বাড়াতে চেয়েছিল। আমরা ঈদ ও করোনার কথা বিবেচনা করে তখন ২ টাকা বাড়িয়েছি। এখন আবার নতুন করে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা বিষয়টি বিশ্লেষণ করে দেখছি। বৃহস্পতিবার মন্ত্রী মহোদয় (বাণিজ্যমন্ত্রী) ব্যবসায়ীদের ডেকেছেন। সেখানে একটি সিদ্ধান্ত হবে।’

ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির ব্যপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও টিকে গ্রুপের পরিচালক মোস্তফা হায়দার বলেন, বিশ্ববাজারের চেয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের দাম অনেক কম। দাম না বাড়ালে ব্যবসায়ীরা নতুন করে এলসি খুলতে পারবে না। তাহলে সামনে কোরবানির ঈদে একটা সঙ্কট দেখা দিতে পারে।

বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রাখতে হলে প্রতি লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়ানো উচিৎ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে থেকে মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সেখানে একটি দাম উল্লেখ করা হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় থেকে কী সিদ্ধান্ত আসে সেটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছি।

এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাফর উদ্দিন বলেন, বিশ্ববাজারেও তেলের দাম নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রণালয় তাদের প্রস্তাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। অচিরেই একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে গত ১০ এপ্রিল সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করে এনবিআর। তবে চলতি মাসের শুরুতে ব্যবসায়ীদের দাবিতে রোজার সময় ভোজ্যতেলের দাম লিটারে দুই টাকা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ১৪১ টাকা (বোতলজাত) নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তখন মিল মালিকদের দাবি ছিল প্রতি লিটার ১৪৪ টাকা নির্ধারণের। তবে রমজান মাস বিবেচনায় তখন ব্যবসায়ীদের ধৈর্য ধরতে বলেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।