ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে লণ্ডভণ্ড পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী

27 May 2021, 9:47:53

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জোয়ারে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বসত ঘরবাড়ি, বেড়িবাঁধ, পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গিয়ে মৎস্যচাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী, দুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩৬ হাজার ২০৮ জন।

প্রশাসনের তথ্য বলছে, গত দুই দিনে উপজেলার রাঙ্গাবালী, ছোটবাইশদিয়া, চালিতাবুনিয়া, চরমোন্তাজ, বড়বাইশদিয়া ও মৌডুবি ইউনিয়নে ২ হাজার ৩৪০ টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে পুরোপুরি ক্ষতি হয়েছে ১১০টির। জোয়ারের তোড়ে ৫ হাজার ৫১০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে চালিতাবুনিয়া, চরমোন্তাজ ও ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোন ত্রাণ সহায়তা পায়নি বা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছেনি। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, ‘ত্রাণ নয়, তারা চান টেকসই বেড়িবাঁধ।’ কারণ লবণ পানিতে লোকালয় সয়লাব।

চালিতাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান বলেন,‘ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে ইয়াস ও পূর্ণিমার জোয়ারের পানি ঢুকে ৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ৩-৪ ঘন্টা প্রায় ১৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।’

ছোটবাইশদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আঃ মান্নান হাওলাদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রক বেড়িবাঁধ ভেঙে চরইমারশন, কোড়ালিয়া,চরনজিরসহ চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে । সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি। ভাঙা বাধঁগুলো দ্রুত ভ সংস্কারের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।

মৎস্য চাষী রওশন মৃধা বলেন, আম্ফানে আমার ৩৫ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। এবছরও ইয়াস ও পূর্ণিমার টানা তিন দিনের জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় ৮ একর ঘেরের প্রায় ৩৫ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা আসেনি এবং কোনও সহায়তা পাইনি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল হক বাবুল জানান, জোয়ারে উপজেলার ৮৫০টি পুকুর এবং ২০৮টি মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। এতে মৎস্য চাষীদের প্রায় ৪৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা।

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।