শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে নীলক্ষেতে শিক্ষার্থীরা

3 June 2021, 1:00:29

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) ১১ টায় নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন তারা। এতে সরকারি সাত কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে বলে জানা গেছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, সাত কলেজের অসংখ্য শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের হলে থেকে পড়াশোনা করে। করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি হলও বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে অনেকেই এখন বাড়িতে অবস্থান করছে। এখন যদি এসব শিক্ষার্থীদের সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া হয় তবে ঢাকায় এসে মেস ভাড়া করে অথবা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় থাকতে হবে। অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থীর পক্ষেই এটি সম্ভব নয়। তাই সরাসরি পরীক্ষা নেয়া শুরু হলে অবশ্যই কলেজের হল খুলে দিতে হবে। না হলে শিক্ষার্থীরা প্রচণ্ড বিপাকে পড়বে।

এর আগে গেল মঙ্গলবার নীলক্ষেতে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও বৈরী আবহাওয়ায় সেটি স্থগিত করে তারা। শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।’

এর আগে, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জোটের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত সমাবেশে অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করা, হল খুলে পরীক্ষা নেওয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত টিকার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। সমাবেশ থেকে সরকার ও প্রশাসনকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে বাধ্য করার জন্য দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সুহাইল আহমেদ শুভর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন- ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী প্রমুখ।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন: স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সকালে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের প্রতিনিধি কৃপায়ন চাকমা, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের জেলা কমিটির সহসভাপতি ক্যাচিং মারমা, ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরাম প্রতিনিধি হিকো ত্রিপুরা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাচিং মারমা, রিয়াজ উদ্দিন, শিউলী মারমা প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। তাঁরা ভুল পথে পা বাড়াচ্ছে। যা পরিবার ও রাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগের কারণ।

এ সময় বক্তারা বলেন, কলকারখানা, গার্মেন্টস, বিপণিবিতান, গণপরিবহন খুলে দিলেও সরকার এখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়নি। যদি অন্যসব প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারে, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন চলতে পারবে না?

বক্তারা জানায়, ভালো ইন্টারনেট সুবিধা না থাকায় পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীদের পক্ষে অনলাইন ক্লাস করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানান বক্তারা। এর আগে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।