মৃত্যু কিছুটা কমলেও বাড়ছে শনাক্তের হার

24 July 2021, 12:58:43

দেশে গত কয়েকদিন ধরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। জুলাই মাসের বেশিরভাগ দিন যেখানে দুইশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে গত চারদিনে এই সংখ্যাটা দুইশোর নিচে নেমেছে। তবে রোগী শনাক্তের হার আগের থেকে বেড়েছে। ইতিমধ্যে ৩২ দশমিক ১৯ শতাংশ পর্যন্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে সামনে কী হবে তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউন ঠিকভাবে মেনে না চলার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। দ্রুত অবস্থার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

শুক্রবার রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার খুরশীদ আলম করোনা রোগীর চাপ কতটা সামাল দিতে পারবেন তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতি সামাল দিতে পারব কি না, তা এখন বুঝতে পারছি না। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আগের দুই সপ্তাহের বিধিনিষেধে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে তেমন ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায়নি। তবে সীমান্তবর্তী জেলায় সংক্রমণ কমেছে। আরও কিছুদিন পরে বিধিনিষেধের প্রভাব বোঝা যাবে।’ ঢাকার পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির পরামর্শ দেন তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঈদের ছুটিতে দেশের সব জায়গায় করোনা পরীক্ষা কম হওয়ায় রোগীর সংখ্যা কম হয়েছে। একইসঙ্গে মৃত্যুও কমেছে। তবে রোগী শনাক্তের হার বেড়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত চার দিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭২৬ জনের। এ সময় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৯ হাজার ২৫৪ জনের।

এই সময় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৩০ শতাংশের মতো। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার শনাক্তের হার ছিল ৩২ দশমিক ১৯ শতাংশ, যা এক বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট ২০ হাজার ৪৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৩১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

এদিকে রোগীর চাপ বাড়ায় হাসপাতালে স্বাভাবিক চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে শয্যা। আর যাদের অবস্থা বেশি খারাপ তাদের জন্য মিলছে না আইসিইউ। অন্যদিকে একটা আইসিইউর জন্য অপেক্ষায় থাকছেন অনেক রোগীর স্বজন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী দেখা গেছে, রাজধানীতে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত ১৬টি সরকারি হাসপাতাল আছে। এর মধ্যে তিনটি হাসপাতালে কোনো আইসিইউ শয্যা নেই। বাকি ১৩টি হাসপাতালের মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত ৭টি হাসপাতালেই কোনো আইসিইউর শয্যা ফাঁকা ছিল না। আর ৬টি হাসপাতালে ফাঁকা ছিল ৪২টি।

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।