হেলেনা-পিয়াসাদের আরও ছয় মামলা সিআইডিতে

11 August 2021, 9:54:42

সম্প্রতি মডেলকাণ্ডে দায়ের করা আরও ছয়টি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। মামলাগুলো হলো- হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা, খিলক্ষেত থানায় মাসুদুল ইসলাম জিসান ও মডেল পিয়াসার বিরুদ্ধে মাদক মামলা। এছাড়া প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও তার সহযোগী সবুজ আলীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় পর্নোগ্রাফি আইনের মামলা, ভাটারা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মাসুদুল ইসলাম জিসানের মামলা, ভাটারা থানায় অস্ত্র আইনে শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসানের বিরুদ্ধে মামলা এবং একই থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মাসুদুল ইসলাম জিসান এবং শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসানের বিরুদ্ধে করা মামলা রয়েছে। এ নিয়ে সিআইডি ১৪টি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেল।

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান ঢাকা টাইমসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজই (বুধবার) নতুন ছয়টি মামলা আমাদের কাছে এসেছে। আমরা এবার সেগুলোর তদন্ত করবো।

গত ২৯ জুলাই আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য পদ হারানো এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীরের রাজধানীর গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল মাদক উদ্ধার করে র‌্যাব। এসব মাদকের মধ্যে রয়েছে ১৭ বোতল বিদেশি মদ, বিপুল ইয়াবা, হরিণের চামড়া, ক্যাসিনো সরঞ্জাম, ওয়াকিটকি। এছাড়া মিরপুরে হেলেনার জয়যাত্রা টেলিভিশনে অভিযান চালানো হয়। পরে হেলেনাকে আটক করে তার বিরুদ্ধে র‌্যাব বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে।

গত ৩ আগস্ট রাতে রাজধানীর বারিধারা ও মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে মডেল পিয়াসা ও তার সহযোগী মৌ আক্তারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে তাদের প্রধান সমন্বয়ক মিশু ও তার সহযোগী জিসানকে অস্ত্র, ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে এলিট ফোর্স র‌্যাব। তাদের বিরুদ্ধে র‌্যাব বাদী হয়ে মোট চারটি মামলা করে।

পরদিন রাজধানীর বনানীতে অভিযান চালিয়ে চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমনি ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে মদ, ভয়ংকর মাদক এলএসডি ও আইস উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় র‌্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি মামলা করে।

একইদিন বনানীতে অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদ, বিকৃত যৌনাচার সরঞ্জামসহ প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজের বিরুদ্ধেও দুটি মামলা করেছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা মামলায় জব্দ হওয়া ডিভাইসগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা শুরু করেছি। যেসব লিকার (মদ) পাওয়া গেছে সেগুলোর রাসায়নিক পরীক্ষা চলছে। রিমান্ড যারা এতদিন ছিল তাদের আমরা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। বিভিন্ন রকম তথ্য আমরা পেয়েছি। আমরা আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে ফেলতে পারব। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই মামলাগুলো শেষ করতে হবে।’

মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এরমধ্যেই আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখেছি বিভিন্নজনের নাম আসছে। কারা কারা জড়িত আছে তদন্তে শেষে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাব। তবে এভাবে যদি খণ্ডচিত্র আসে তাহলে অনেকের সম্মানহানি হবে ও বিব্রত হবেন।’

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।