রাষ্ট্রপতির কাছে রাশিয়া ও জার্মানির রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
বাংলাদেশে রাশিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আলেক্স্ান্দর ভিকন্তিয়েভিচ মন্তিস্কি এবং জার্মানির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আচিম ত্রস্তার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বাসসকে বলেন, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সাথে রাশিয়া ও জার্মানির সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বসÍ দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠনে রাশিয়ার সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট সমস্যা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে রাশিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন। রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উদ্যোগ নেয়ার জন্য নতুন রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যুৎকেন্দ্র স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রকল্পে কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতার জন্য রাশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে রষ্ট্রপতি জার্মানি বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার এবংজার্মানি বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যস্থল উল্লেখ করে জার্মানির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বলেন, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্যসহ বিভিন্ন খাতে জার্মানির সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকালে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেন।
রাষ্ট্রপতি এখানে অত্যন্ত বিনিয়োগ-অনুকূল রিবেশ বিরাজ কছে এল্লখ করে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্কসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে জার্মান বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
রোহিঙ্গা ইস্যুত জার্মানির সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে জার্মান সরকার মিয়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখবে।
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদ্বয় দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ও সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নতুন দূতগণ বঙ্গভবনে এসে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে। — বাসস
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।