বিজেপির সক্রিয় সদস্য হাইকোর্টের বিচারপতি, পশ্চিমবঙ্গে বিতর্কের ঝড়

18 June 2021, 5:40:01

ভারতের কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। তাকে বিজেপির সক্রিয় সদস্য বলে আখ্যায়িত করে দলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন ওই বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে টুইট করেছেন।

শুক্রবার টুইটবার্তায় ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হওয়া আগে কৌশিক চন্দ বিজেপি দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি বিজেপির কর্মসূচিগুলোতে মঞ্চে থাকতেন।

দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কৌশক চন্দকে একটি অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে উল্লেখ করে টুইটবার্তায় প্রমাণস্বরূপ দুটো ছবিও পোস্ট করেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। খবর জিনিউজের।

টুইটে তিনি দাবি করেন, ১০টি মামলায় বিজেপির হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করেছেন আইনজীবী কৌশিক চন্দ।

খবরে বলা আরও বলা হয়, কৌশিক চন্দের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এ দিন হাইকোর্টে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের একাংশ। বিক্ষোভকারীদের মুখে ছিল কালো মাস্ক। হাতের পোস্টারে লেখা,‘বিচারব্যবস্থার সঙ্গে রাজনীতি করবেন না’।

নন্দীগ্রামের নির্বাচনের ফলাফলের মামলা বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে পাঠানোর পর এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিতর্কের ঝড় বইছে।

এদিকে নন্দীগ্রামের নির্বাচনের ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগে হাইকোর্টে মমতার মামলা বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাস থেকে সরানোর আবেদন করেছেন।

মামলা অন্যত্র সরানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে আবেদন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন তৃণমূল নেত্রী। ওই মামলায় বিচারপতি কৌশিক চন্দের নিরপেক্ষতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।

প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদনে মমতার আইনজীবী বলেন, ‘২০২১ সালের এপ্রিলে কৌশিক চন্দকে স্থায়ী বিচারপতি করার জন্য চিঠি দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। তখন আপত্তি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি ওই বিচারপতি বিজেপির সক্রিয় সদস্য। অতএব তিনি পক্ষপাতদুষ্ট। পরিশেষে অনুরোধ করছি, পক্ষপাত এড়ানোর জন্য মামলাটি অন্য বেঞ্চে পাঠানো হোক।’

শুক্রবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে ওঠে নন্দীগ্রাম মামলা। বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানান, জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী নির্বাচনী আবেদনের মামলাকারীকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী হাজির থাকতে পারেন কি না তা জানতে চান বিচারপতি।

মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী বলেন, ‘আইনে যা সংস্থান আছে তা মেনে চলব।’

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।